ডিপ্রেশন-ই হতে পারে মৃত্যুর কারণ,

 


ডিপ্রেশন-ই হতে পারে মৃত্যুর কারণ, কিছু লক্ষণ দেখে বুঝে নিন আপনি আক্রান্ত কিনা

শারীরিক রোগ থেকে মানসিক রোগ অনেক বেশি জটিল। আর এই রোগের কাছেই অবলীলায় হার মেনে নিচ্ছেন অনেকেই । একটাই শব্দ মানসিক অবসাদ। এই শব্দটাই তিলে তিলে শেষ করছে একাধিক প্রাণ। কত শক্তিই রয়েছে এই ছোট্ট শব্দটার মধ্যে যে মানুষের প্রাণ নিয়ে নিচ্ছে নিঃশব্দেই। এই মহাসঙ্কট কালে একাকীত্ব,নিঃসঙ্গতা,সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কুরে কুরে খাচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে।  বয়স্কদের তুলনায় তরুণ-তরুণীরা অনেক বেশি শিকার হচ্ছেন মানসিক অবসাদের।


🗣️ স্বামীর দূর ব্যাবহার স্ত্রীকে মানসিক ভাবে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট  

বর্তমানে ডিপ্রেশন খুবই কমন একটি সমস্যা। ডিপ্রেশনে থাকা ব্যক্তির মনে হয় জীবনের সব শেষ, তার জীবনে ভালো কিছু হবে না। এর ফলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।শরীরের মতোন মনেরও ওষুধের দরকার। নিজের সমস্যা চেপে না রেখে মন খুলে কথা বলুন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ  নিন। নিজেদের হতাশা, যন্ত্রণার কথা অনেকেই মুখ ফুটে বলতে পারেন না, বরং তা না করে যার সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভাল লাগে তাকে নিজের সবটা খুলে বলুন।


মনোবিদদের মতে, জীবনে বড় কোনও কিছুর থেকে আঘাত পাওয়া, যেমন ব্যক্তিগত, আর্থিক, বন্ধুবান্ধব, সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, ঘনিষ্ঠ মানুষের মৃত্যু থেকে হতাশার  সৃষ্টি হয়। আর সেখান থেকে ধীরে ধীরে মানসিক রোগের শিকার হন।

জেনে নিন কিভাবে এই ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে পারেনঃ 


১। নিজের প্রতি নেতিবাচক চিন্তা ও নিজের ক্ষতি করার মানসিকতা পরিবর্তন করুনঃ 


ডিপ্রেশনের ফলে নিজের প্রতি নেতিবাচক ধারণা জন্মে, নিজেকে ছোট মনে করেন। এর ফলে অনেকে নিজের ক্ষতি করতে চান। এই মানসিকতা বহন করলে তা ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ে, তাই এসব ভাবনা এড়িয়ে চলুন। 


২। কাজের মধ্যে থাকুন ও অ্যাকটিভ হনঃ 


ডিপ্রেশনের ফলে এনার্জি লেভেল অনেক কমে যায়। সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে। এর ফলে কাজ থেকে বিরত থাকলে ডিপ্রেশন আরও জেঁকে বসে। এটি একটি সাইকোলজিকাল ফ্যাক্ট যে, নিজেকে ব্যস্ত রাখলে তা ডিপ্রেশন রোধে সহায়তা করে। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে সপ্তাহে ৫ দিন ২০ মিনিট এক্সারসাইজে মানসিক অবস্থা উন্নত হয়। তাই, কর্মরত থাকুন। 


৩. প্রিয়জনদের মাঝে থাকুনঃ 


এই সময়ে একা থাকতে ইচ্ছে হয়। অন্যদের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না। কিন্তু এই সময়ে আরও বেশি মানুষের মাঝে থাকা উচিৎ। ডিপ্রেশনে থাকলে পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটান। তাদের সাথে আপনার পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যেতেও পারেন, এতে আপনার মন ভালো হবে। 

 💔 আপনি আপনার প্রিয়জনের কাছে কতটুকু প্রিয়...?


৪. ইচ্ছে না করলেও আগের পছন্দের কাজগুলো করুনঃ 


ডিপ্রেশনে থাকলে পছন্দের জিনিসগুলো করতেও ইচ্ছে করে না, কারণ তাদের কিছুই ভালো লাগে না। তবে, চেষ্টা করুন সেগুলো করার যেমনঃ রান্না করা, গান শোনা, ছবি আঁকা ইত্যাদি। যেহেতু, আগে এগুলো করতে ভালো লাগতো, এগুলো আবার করলে মন ভালো হতে পারে। 


৫. কমেডি টিভি শো, মুভি বা সিরিজ দেখুনঃ


আমরা যখন হাসি, মস্তিষ্কে এই মেসেজটি পৌঁছায় যে আমরা খুশি আছি। ভালো কোনো কমেডি মুভি বা শো সাময়িকভাবে মন ভালো করতে পারে। এর ফলে, জীবনে আবারও সুখী হওয়ার প্রেরণা পাওয়া যায়। 


৬. থেরাপিস্টের সাথে যোগাযোগ করুনঃ


কথা বলা ডিপ্রেশনের সাথে লড়ার একটি ভালো উপায়। মন খুলে কথা বললে ভিতরের জমানো কষ্টগুলো প্রকাশ পেলে কষ্টের উৎস বের করা যায়। যদি রোগের মাত্রা ছাড়িয়ে যায় ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটায় তবে থেরাপিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন। যিনি আমাদেরকে মন খুলে কথা বলতে সাহায্য করবেন এবং একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে গাইড করবেন। প্রয়োজনে ঔষধও প্রেসক্রাইব করতে পারেন।



◼️ লাইফস্প্রিং এর অভিজ্ঞ সাইকিয়াট্রিস্ট ও সাইকোলজিস্ট এর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে ও অন্যান্য তথ্য জানতে কল করুনঃ

09638 505505অথবা 01763 438148 | ২৪ ঘন্টা যে কোনো সময় 

• Like | Comen | Share

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভারতকে দিতে হবে ৮ কোটি টাকা

সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে দই ও মিষ্টি নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক

স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা