হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ




ঋতু পরিবর্তনের সময় দেশে কম-বেশি সব বয়সী মানুষই নানা ধরনের ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হন। বিশেষ করে শিশুরা এসব জ্বরে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।  


বর্তমানে দেশের শিশুরা কোভিড ও ডেঙ্গুর পাশাপাশি আরেকটি জ্বরে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ইদানিং হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া জ্বরের সাথে হাতে পায়ে ফোস্কার মতো র‍্যাশ হওয়া রোগটা চিকেন পক্স নয়, ভাইরাসজনিত এই রোগটি ‘হ্যান্ড-ফুট-মাউথ ডিজিজ’ Hand, foot and mouth disease (HFMD) নামে পরিচিত।  


রোগটি কক্সাকি বা এন্টারো ভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হয়ে থাকে।  


প্রতিবছর অল্পসংখ্যক এ ‘হ্যান্ড-ফুট-মাউথ ডিজিজ’ রোগী দেখা যায়। তবে এবার রোগটির প্রকোপ বেশি।  


এই ‘হ্যান্ড-ফুট-মাউথ ডিজিজ’ হলে শিশুদের হাতে, পায়ে ও মুখে এক ধরনের ফোস্কার মতো র‍্যাশ ওঠে। এমনকি কারও কারও মুখ বা গলার ভেতরেও ফুসকুড়ি হয়ে থাকে।  


সাধারণ চিকিৎসায় এই রোগ ভালো হয়ে যায়। তাই এই রোগটি নিয়ে চিন্তিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। 

নারীদের কি বীর্যপাত ও অর্গাজম একই জিনিস...?


 

#কাদের_হয়?  


সাধারণত ছোঁয়াচে এই রোগটা ৫ বছরের নিচে বাচ্চাদের হয়ে থাকে, তবে অনেক সময় ১০ এর নিচে বা বড়দেরও হতে পারে। 


#কিভাবে_হয়?  


এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৩-৬ দিনের মধ্যে জ্বর দেখা দেয় এবং ৬/৭ দিন লাগে ভালো হতে । জ্বরের ১ বা ২দিন পর মুখের ভিতর ঘা, হাতে ও পায়ে তালুসহ নিতম্বেও ফোস্কার মতো র‍্যাশ দেখা যায়। চুলকানি হয়, তবে ব্যথার জন্য খাবার গিলতে কষ্ট হওয়ার, অরুচি, অস্থিরতা দেখা যায়। ৭দিন পর এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়।  

জানতে আরো পড়ুন.... 

নারীর স্তন ক্যান্সার থেকে বাচার উপয়

#ক্ষতিকর_দিকঃ 


রোগটি তেমন মারাত্মক ইনফেকশন নয় তবে এর ফলে পানি শূন্যতা হতে পারে, যা আসলেই ভয়ের কারণ।  


এছাড়া ছোঁয়াচে হওয়ায় সহজেই স্পর্শ, হাঁচি কাশির মাধ্যমে রোগ ছড়ায়।  


#শনাক্তকরণ_ও_চিকিৎসা 


প্রায়ই শারীরিক লক্ষণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই রোগটি শনাক্ত করা যায়।  


এছাড়াও গলা থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে বা স্টুল পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাস শনাক্ত করা যায়। 


বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ইনফেকশন ৭-১০দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়।  


ফুসকড়ি ও র‍্যাশ কমার জন্য সাময়িক মলম বা অয়েন্টমেন্ট, ব্যথার ঔষধ যেমন- অ্যাসিটামিনোফেন বা আইবুপ্রোফেন, গলা ব্যথার জন্য সিরাপ  খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।  


ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখবেন বাচ্চার পানিশূন্যতার কোন লক্ষণ আছে কিনা। কারণ মুখের ঘা এর কারণে বাচ্চার দুধ বা পানি পান করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। যদি আপনি বাচ্চার পানিশূন্যতার কোন লক্ষণ দেখেন, যেমন শুকনো মুখ বা স্বাভাবিকের চাইতে কম প্রস্রাব করা, তাহলে দ্রুত ডাক্তারকে জানান। 


যদি বাচ্চার বয়স ৩ মাসের কম হয় এবং জ্বর ১০০.৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার বেশি হয় তবে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। এই বয়সের বাচ্চার এই ধরনের জ্বরের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া দরকার। বাচ্চার এই রোগ হলে বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা খেয়াল রাখতে হবে এবং তার খাবার এবং তরল গ্রহণের দিকে নজর দিতে হবে। 


#প্রতিকারের_উপায়ঃ 


জ্বরের চিকিৎসার পাশাপাশি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, প্রচুর পানি ও তরল খাবার খাওয়ানো, গোসল দেয়া, উপসর্গ অনুযায়ী ঔষধ দেয়াই এর চিকিৎসা।  


বার বার হাত ধোয়া ও জীবাণুনাশক ব্যবহার করলে এই রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচা যায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভারতকে দিতে হবে ৮ কোটি টাকা

সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে দই ও মিষ্টি নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক

স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা